আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» সংবাদ বিজ্ঞপ্তিবিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের বিকল্প নেইঢাকা, ০২ মে ২০২৪: «» জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরমৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় «» চশমা প্রতীকে লড়বেন গোয়াইনঘাটের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছ «» মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা রহমান নির্বাচিত «» জুড়ীতে গাছ থেকে পড়ে কাঠুরিয়ার মৃত্যু «» জুড়ীতে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে যুব ফোরামের সভা অনুষ্ঠিত «» কুলাউড়ায় হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের «» জুড়ীতে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. কওমী মাদ্রাসা উদ্বোধন «» রাজনগরে কদমহাটা শ্রী শ্রী কালীবাড়ির পুনঃনির্মিত মন্দিরের শুভ উদ্বোধন «» বার্তা সম্পাদক/প্রধান প্রতিবেদক/ব্যুরো প্রধান/নগর সম্পাদক

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সরকারি এ্যাম্বুলেন্স চালকদের অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ

সালেহ আহমদ (স’লিপক):

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ২টি কিন্তু জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অনেক সময় কোথায় এ্যাম্বুলেন্স আছে তারা নিজেই এব্যাপারে জানেন না। সামনে বিশাল জায়গা থাকলেও অ্যাম্বুলেন্স থাকে হাসপাতালে কোথায় তা দেখা জানা যায়। ফলে জরুরি সময় মুমূর্ষু রোগীদের সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন হলে সময়মতো মেলে না অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের দেখা। দেখা যায়নি হাসপাতালের চার দেওয়ালের ভিতর এ্যাম্বুলেন্সগুলোকেও। এমন পরিস্থিতিতে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দালালের মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা চালায় নানা অপকৌশল। এতে করে সময়মতো উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ায় প্রায়ই ঘটছে মৃত্যু। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের এমন চিত্র ও অভিযোগ মিলে হরহামেশাই।

সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় চলছে না হাসপাতালের এই অ্যাম্বুলেন্স। চালকরা নির্ধারিত ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করছে। প্রতিনিয়ত এ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকার পরও চালকদের খাতাপত্রে রয়েছে হাজিরা, ওভার ডিউটি, তৈলের ভাউচার ও গাড়ি মেরামতের বিল। সরকারের কোষাগারেও নির্ধারিত ভাড়া জমা না করে চলছে শুভংকরের ফাঁকি।

জানা যায়, এসব অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও তা অনুসরণ করেন না চালকরা। দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন ২জন চালক। তারা হলেন সামছুল ইসলাম ওরফে অয়েছ ও কিরণ সিংহ।

বিশেষ সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে কর্মরত চালক সামছুল ইসলামের রয়েছে ৫-৬টি প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবসা। আর এমন সুযোগ কাজে লাগান হাসপাতালের কর্মরত চালক সামছুল তার নিজস্ব প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স বেলায়। বিশেষ কোন তদবিরে রেফার করা রোগীকে নিয়ে গেলে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসার পথেও চলে বাণিজ্য। অজুুহাতে বন্ধ রাখা অ্যাম্বুলেন্স তৈল না পুড়িয়ে দেখানো হয় জ্বালানো খরচ ও মেরামত খরচসহ চালকের ওভার ডিউটি। এব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চালকদের নৈরাজ্যের কথা বুঝতে পেরে যান্ত্রিক ত্রুটির অজুহাত দেখান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালে আসা একাধিক রোগী জানান, অ্যাম্বুলেন্স থাকবে প্রকাশ্যে। হাসপাতালের কোথাও অ্যাম্বুলেন্সের দেখা মিলে না। অ্যাম্বুলেন্স গোপনে রাখা হয় কেন এমন প্রশ্ন সবার।

রাজনগর থেকে আসা মুমূর্ষু শিশুর পিতা সুকুল দাস জানান, গত ১৭ জানুয়ারী ২০ দিনের শিশুকন্যাকে ঠাণ্ডাজনিত কারণে ভর্তি করেন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে। রাত ১২টার দিকে তাকে হঠাৎ রেফার দেখানো হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে। নিরুপায় হয়ে সরকারী এ্যাবুলেন্সের সহযোগিতা চান তিনি। বার বার জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হলেও এব্যাপারে কোন সারা দেন নি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে বাড়ী থেকে টাকা ধার করে এনে বাচ্চাকে বাঁচাতে গিয়ে সামছুল ইসলামের প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সিলেটে নিয়ে যান তিনি। এব্যাপারে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে হটলাইনে নাম্বারে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।

তাৎক্ষনিক মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাধায়ক বিনেন্দ্রু ভৌমিককে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, গাড়ীর তৈল নেই।